তাহিরপুর প্রতিনিধিঃ
আজ,২৬ অক্টোবর ২০২০ইং সোমবার।
সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা ২নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়নের সুলেমাপুর বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম যেন আকাশঁ চোঁয়া । প্রতিনিয়ত দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত দামেই বিক্রি হচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্য ।অতিরিক্ত দামে আপোষহীন ক্রেতাগণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,সুলেমাপুর বাজার টি প্রায় ৯ থেকে ১০টি গ্রামের একমাত্র বাজার।এ বাজারেই উক্ত গ্রাম গুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে থাকে।বাজারে থলে হাতে প্রতিদিন শত জনতার ঢল ।সুলেমানপুর বাজারের বিভিন্ন দোকানে গত ১৫-২০ দিন আগের মূল্যের ছেয়ে অতিরিক্ত মূলে পিয়াজ,আলু,ডাল,কাচা মরিচ সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও কাচা বাজারেও দাম যেন আগুন।অতিরিক্ত মূল্যেই ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছে দ্রব্য সামগ্রী।
বাজারে প্রতি কেজি আলু খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা। প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা,গত কয়েকদিন আগে যা বিক্রি হতো কেজি পিয়াজ ৩০-৩৫ টাকা।কাচা মরিচের বাজারে যেন আগুন।প্রতি কেজি কাচা মরিচের বিক্রয়মূল্য ২২০-২৫০টাকা।গত কয়েকদিন আগে ছিল প্রতি কেজি ৯০-১০০টাকার মধ্যে।সাথে সাথে সাথে ডালের দামও বাড়ছে।ডাল প্রতি কেজি ১২০ টাকা।প্রতিনিয়ত সব দ্রব্যের দাম বাজারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এলাকার সচেতন মহল জানান,বিশ্ব আজও মহামারী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত।আমরা হাওর এলাকার মানুষ।বছরে একবার ফসল ফলাই। তা দিয়ে আমাদের সারা বছর সংসার চালাতে হয়। এবছর আমাদের কোনো বাড়তি আয় নেই।তার উপর আবার দ্রব্যের দাম প্রতিদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।অতিরিক্ত দামে ক্রয় করতে করতে আর পারছি না। এভাবে আর কত দিন চলবো। পণ্য না কিনে ও পরছি না।পেটে তো দু মোটে ভাত দিতে হবে।তাই বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দামেই পণ্য ক্রয় করি।আমরা বাজারের এই অতিরিক্ত দামের সমাধান দ্রুত চাই।দ্রুত প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।
বাজারের ক্রেতা সুহেব মিয়া বলেন,প্রতিদিন আমাদের এরকম বেশি দামে পণ্য ক্রয় করতে হচ্ছে। এটা যেন আমাদের এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে।“আমরা এর দ্রুত সমাধান চাই,সঠিক মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে চাই”।
নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক আরেক জন ক্রেতা বলেন,বছরের ১২ মাসেই অন্যান্য বাজারের চেয়ে আমাদের বাজারে পণ্যের দাম বেশি থাকে।আমরা চাই সঠিক মূল্যে পণ্য ক্রয় করতে।দ্রুত প্রশাসনের কাছে সমাধানের দাবী জানাই।
এ বিষয়ে বাজারের কোনো ব্যবসায়ীরা মুখ খুলতে রাজি নেই।
এবিষয়ে ২নং দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ সরকারের ফোনে একাধিক বার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ না হাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।
এবিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা -পদ্মাসন সিংহ জানান,আমরা বিষটা দেখবো।প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।